হিন্দুস্থানী সঙ্গীত | ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত

হিন্দুস্থানী সঙ্গীত বা হিন্দুস্থানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের চর্চা বৈদিক যুগ হতে চলে আসলেও কেবলমাত্র হিন্দু সঙ্গীতের ঐতিহ্যই এতে নিবদ্ধ থাকেনি। বৈদিক দর্শন, ভারতের দেশজ শব্দ সুর এবং পারস্যের সাঙ্গীতিক প্রভাবে ঋদ্ধ হয়েছে উত্তর ভারতের এই হিন্দুস্থানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত। পারস্যের সাঙ্গীতিক প্রভাব এসেছে মূলতঃ আফগান ও মুঘল সম্রাটদের মাধ্যমে।

হিন্দুস্থানী সঙ্গীত

হিন্দুস্থানী সঙ্গীত

হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বা হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত (দেবনাগরী: हिन्दुस्तानी शास्त्रीय संगीत) ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের উত্তর ভারতীয় শাখা। খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ অব্দে উদ্ভূত বৈদিক স্তোত্রগুলির মধ্যে এই ধারার উৎস নিহিত রয়েছে। তবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আধুনিক ধারাটির উদ্ভব খ্রিষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতে। আমির খসরুকে (১২৫৩-১৩২৫) আধুনিক শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জনক মনে করা হয়। হিন্দুস্থানি কণ্ঠসঙ্গীতের প্রধান শাখাগুলি হল খেয়াল, ধ্রুপদ ও তারানা। অন্যান্য ধারাগুলির উল্লেখযোগ্য ধামার, কাজরী, টপ্পা, ঠুংরি, দাদরা, গজল, ভজন ইত্যাদি।

হিন্দুস্থানী সঙ্গীত

হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের মূল প্রেরণা এসেছে হিন্দু ধর্মে নব রস হতে। রাগ আশ্রিত এই সাঙ্গীতিক প্রকাশ বর্তমান অব্দি অতি জনপ্রিয়তায় আসীন হয়ে আছে। সাত সুর ও ২২টি শ্রুতির সমন্বয়ে আরোহণ অবরোহন বিন্যাস, বাদী ও সমবাদী স্বরের প্রয়োগ এবং মীড়, গমক ও অন্যান্য সাঙ্গীতিক কৌশলের মাধ্যমে উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত রাগসমূহপরিবেশন করা হয়। ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ শতব্দীতে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধারা সমমায়িক ধর্মীয়, লোকগীতি এবং নাট্যকলার সাঙ্গীতিক প্রকাশ হতে স্বতন্ত্র রূপ লাভ করেছে। ধ্রুপদ, ধামার, খেয়াল হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের প্রকাশভঙ্গী। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে খেয়াল।

Music Gurukul Logo 512x512 (84)

উত্তর ভারতীয় “হিন্দুস্থান” অঞ্চল থেকে এ সঙ্গীত ঐতিহ্যের নাম রাখা হয়। এই সঙ্গীত প্রথা বিন্ধ্য পর্বতের উত্তরে সমগ্র ভারতে প্রচলিত।

পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখন্ডে (১৮৬০-১৯৩৬) বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ সমূহকে দশটি ঠাট বা গ্রুপে ভাগ করেছেন। এর আগে এগুলো বিভাজিত ছিল রাগ (পুরুষ), রাগিণী (স্ত্রী) এবং পুত্রা (সন্তান) হিসেবে। কেউ কেউ মনে করেন ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সময় ও কাল নির্ভর রাগ রয়েছে প্রায় ৬,০০০ টি।

হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রধান শাখাগুলি হল খেয়াল, ধ্রুপদ ও তারানা। অন্যান্য ধারাগুলির উল্লেখযোগ্য কাজরী, টপ্পা, ঠুংরি, গজল, ভজন।

ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সূচি

খেয়াল:

খেয়াল দু প্রকার : ছোট খেয়াল (Fast Kheyal) ও বড় খেয়াল (Slow Kheyal)। ছোট খেয়াল চপল গতির, তাই এর রচনা খুব সংক্ষিপ্ত। বড় খেয়াল বিলম্বিত লয়ের। এর বিষয় সাধারণত শৃঙ্গাররসাত্মক এবং এর প্রকাশ ঘটে সঙ্গীতের শিল্পসৌন্দর্যের মাধ্যমে। খেয়ালে ভক্তিরসেরও প্রাধান্য থাকে। হিন্দি ও উর্দু ভাষায় খেয়ালগুলি রচিত। খেয়াল গানের সঙ্গে তালযন্ত্র হিসেবে তবলা সঙ্গত করা হয়। একতাল, ত্রিতাল, আড়াচৌতাল, ঝুমরা ইত্যাদি তাল খেয়ালের সঙ্গে বাজানো হয়। সুন্দর তাল ও সঠিক নিয়ম অনুযায়ী গীত হলে খেয়াল শ্রোতার মনে অপূর্ব আনন্দ সঞ্চার করে। তাই সঙ্গীতজগতে খেয়াল বেশ জনপ্রিয় এবং অধিক প্রচলিত একটি গায়ন পদ্ধতি। বর্তমানে রাগসঙ্গীতের শাখাসমূহের মধ্যে খেয়ালের স্থান সর্বাগ্রে।

বিস্তারিত দেখুন [ খেয়াল । গীত ধারা । হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ] …

ধ্রুপদ:

এটি মূলত রাগসঙ্গীতের একটি ধারা। ধ্রুপদ অর্থ হলো ধ্রুব পদ। এই ধরনের গানে -“স্থায়ী, অন্তরা, সঞ্চারী, আভোগ” নামে চারটি ‘কলি’ বা ‘তুক’ থাকে। কোনো কোনো গানে দুটি তুকও থাকে। এই ধরনের গানে বিশেষ করেই রাগের বিশুদ্ধতা বজায় রাখা হয়। গানের কথাগুলি সাধারণত ভক্তি ও প্রকৃতি বর্ণনামূলক। এজাতীয় গানের মধ্যে কোনো প্রকার চাঞ্চল্য থাকে না। ধ্রুপদকে উচ্চাঙ্গসংগীতে সবচেয়ে অভিজাত বলা হয়।

বিস্তারিত দেখুন [ ধ্রপদ । গীত ধারা । হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ] …

ধামার:

ধামার । গীত ধারা । হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত

তারানা:

এটি এক হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত যাতে কিছু শব্দ যেমন ‘ওদানি’, ‘তাদিম’, ‘দির-দির’, ইত্যাদি (যা পারসী ও আরবী থেকে অনুপ্রাণিত) সেগুলোকে মধ্য অথবা দ্রুত লয়ে বার বার বিভিন্ন ভঙ্গিতে গাওয়া হয়। কর্ণাটী সঙ্গীতের ‘তিল্লানা’ এর থেকেই অনুপ্রাণিত বলে ধরা হয়।

বিস্তারিত দেখুন [ তারানা । গীত ধারা । হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ] …

ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সূচি

 

কাজরী:

এটি একটি উত্তর ভারতীয় অর্ধ-শাস্ত্রীয় সঙ্গীত যা উত্তর প্রদেশ (বেনারস, মথুরা, এলাহাবাদ) ও বিহারে (ভোজপুর অঞ্চল) জনপ্রিয়। কাজরী মূলত শৃঙ্গার রসের গান।

বিস্তারিত দেখুন [ কাজরী । উপশাস্ত্রীয় গীত ধারা । হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ] …

টপ্পা:

টপ্পা গান কলকাতা অঞ্চলের একটি লৌকিক গান। এটি পাঞ্জাব অঞ্চলের মূল গানের সাথে মিল থাকলেও বাংলায় এটি রাগাশ্রয়ী গান হিসেবে পরিচিত। উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতে অর্ধ-শাস্ত্রীয় সঙ্গীত হিসেবে টপ্পা একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এর অর্থ সংক্ষিপ্ত। খেয়াল বা ধ্রুপদের সংক্ষিপ্তরূপ হিসেবে হিন্দিতে ‘টপা’ শব্দ গৃহীত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই শব্দটি দাঁড়ায় টপ্পা। টপ্পার স্বাভাবিক করুণ রস, প্রেম, প্রধানত বিরহকে বিষয়বস্তু করে রচিত বলে টপ্পার উপযোগী কিছু বিশেষ রাগও আছে, যেমন – ভৈরবী, খাম্বাজ, দেশ, সিন্ধু, কালাংড়া, ঝিঁঝিট, পিলু, বারোয়া, ইত্যাদি।

বিস্তারিত দেখুন …

ঠুংরি:

এটি একটি উত্তর ভারতীয় অর্ধ-শাস্ত্রীয় সঙ্গীত যা হিন্দি ‘ঠুমকনা’ থেকে এসেছে (যার মানে নাচের ভঙ্গিমায় হাটা)। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই সঙ্গীতকলাটি নাচ, নাটকীয় ভঙ্গি, প্রেমের কবিতা, লোকসঙ্গীত ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশের। কর্ণাটী সঙ্গীতের ‘বর্ণম’ কে ঠুংরির সাথে তুলনা করা যায়।

বিস্তারিত দেখুন [ ঠুমরী । উপশাস্ত্রীয় গীত ধারা । হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ] …

গজল:

গজল হালকা মেজাজের লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। গজল গানে কথা বেশি, সুরের প্রাধান্য কম। মূলত হালকা ধরনের গান হলেও সব ধরনের রচনাই এ গানের বিষয়বস্তু হতে পারে। উচ্চভাবপূর্ণ ও গাম্ভীর্যপূর্ণ রচনাও কোন কোন গানে দেখা যায়। গজল ভালো গাইতে হলে ভালো ভাষা-জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। টপ্পার মতো গজল প্রধানত কাফি, পিলু, ঝিঝিট, খাম্বাজ, বারোয়া, ভৈরবী রাগে গাওয়া হয়। গজল গানে একটি বিশেষ আবেদন আছে, তাই এ গান শ্রোতার মনকে রসে আপ্লুত করে তুলতে সক্ষম।

বিস্তারিত দেখুন [ গজল । উপশাস্ত্রীয় গীত ধারা । হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ] …

ভজন:

এটি হচ্ছে ভারতীয় আধ্যাত্মিক গান বিশেষত হিন্দুয়ানী ঘরাণার গানেরই একটি ধারা। এটির নির্দিষ্ট কোন ধাঁচ নেই। ভজন মন্ত্র কিংবা কীর্তনের চেয়েও সহজ হতে পারে, আবার শাস্ত্রীয় রাগপ্রধান এবং তাল সমৃদ্ধ গান হিসেবে ধ্রুপদ বা কৃতীর মতো হতে পারে। সাধারণত সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালবাসার সুগভীর মহিমা প্রকাশের জন্য সুর করে ভজন গাওয়া হয়।

কাফি:

“কাফি” পাঞ্জাবের একটি উপশাস্ত্রীয়  সঙ্গীতের ধারা। সুফিদের হাতে পড়ে সাফ সুতরা হয়ে সেই জনরা অর্ধ-শাস্ত্রীয় (Semi-Classical) সঙ্গীতের মর্যাদা পেয়েছে। কথার রীতিতে পার্সিয়ান প্রভাবে এসেছে, পাঞ্জাবের হরকতগুলোর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। কাছাকাছি গায়নরীতির কারণে কাফির প্রতিযোগিতা চলে ঠুমরীর সাথে। তবে ভক্তিগানে এখনো “কাফি” ঠুমরীর চেয়ে এগিয়ে।

সাদরা:

সদরা হল ভারতীয় উপমহাদেশের হিন্দুস্তানি উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একটি ধারা। সাদরা মুলত তেওড়া ( ৭ বীট), সূল (১০ বীট) এবং চৌ (১২ বীট) বা ১০ – বিট ঝাপ্টালের মধ্যে রচনা হয়।

টাপ্পা:

টপ্পা গান কলকাতা অঞ্চলের একটি লৌকিক গান। এটি পাঞ্জাব অঞ্চলের মূল গানের সাথে মিল থাকলেও বাংলায় এটি রাগাশ্রয়ী গান হিসেবে পরিচিত। রামনিধি গুপ্ত (নিধু বাবু) এর উদ্ভাবক বলে পরিচিত। অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে পাঞ্জাব অঞ্চলের লোকগীতি টপ্পা গানের প্রচলন শুরু হয়। প্রধানত উটের গাড়ি চালকের মুখেই টপ্পা গান বেশি শোনা যেত। শোরী মিয়া (১৭৪২-১৭৯২) নামে একজন সঙ্গীতজ্ঞ টপ্পা গানগুলোকে সাঙ্গিতিক আদর্শে সাজিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা একটি গায়ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে রামনিধি গুপ্ত বা নিধু বাবু (১৭৪১-১৮৩৯) বাংলা টপ্পা রচনা করেন। এখানেই ভারতীয় বা হিন্দুস্থানী রাগসঙ্গীতের ধারার সঙ্গে বাংলা রাগসঙ্গীত চর্চা যুক্ত হয়।

চৈতী:

চৈতি হল উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একটি ধারা।  চৈত মাসে হিন্দু ক্যালেন্ডারে গানটি গাওয়া হয়। এই গানগুলি মার্চ/এপ্রিল মাসে পবিত্র শ্রী রাম নবমীতে গাওয়া হয়। এটি হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অধীনে পড়ে। গানগুলিতে সাধারণত ভগবান রামের নাম থাকে।

হরি:

হোরি উপ-শাস্ত্রীয় গানের একটি ধারা, যা উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে জনপ্রিয়। হরিকে ভৈরবী, ঠুমরি ইত্যাদি দিয়ে সজ্জিত হয়।

সাওয়ানী:

উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীত ধারা। সাওয়ানি উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে জনপ্রিয়। এটি চৈতি, হোরি এবং কাজরির মতো ঋতুর গানের সিরিজে আসে এবং উত্তরপ্রদেশের গ্রাম ও শহরে ঐতিহ্যগতভাবে গাওয়া হয়: বেনারস, মির্জাপুর, মথুরা, এলাহাবাদ এবং বিহারের ভোজপুর অঞ্চলে।

কাওয়ালী:

কাওয়ালি এক প্রকার আধ্যাত্মিক প্রেমবিষয়ক ভক্তিমূলক গান। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাওয়ালি জাতীয় গান থেকেই কালক্রমে খেয়াল নামক উচ্চাঙ্গ সংগীতের শ্রেণীটির উৎপত্তি হয়েছে। ‘কওল’ শব্দটি থেকে কাওয়ালি শব্দটির উৎপত্তি ঘটেছে বলে মনে করা হয়। আবার অনেকের মতে, দিল্লির পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী কাওয়াল নামক যাযাবর সম্প্রদায় কর্তৃক গীত সাধারণ ভক্তিমূলক গানকে কাওয়ালি বলে চহ্নিত করা হয়।

বিস্তারিত দেখুন ….

 

দাদরা:

দাদরা হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একটি উপশাস্ত্রীয় গীত ধারা, যা বেশিরভাগ আগ্রা এবং বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে পরিবেশিত হয়। এটি মূলত দাদরা তাল (যেখান থেকে ধারার শব্দটি ধার করা হয়েছিল) দিয়ে গাওয়া হত। তবে পরবর্তীতে দাদরা রচনাগুলি অন্যান্য হালকা তালেও করা হয়েছে।

শিখ সঙ্গীত:

শিখ সঙ্গীত, যা গুরবানি সঙ্গীত নামেও পরিচিত, এবং গুরমত সঙ্গীত, বা এমনকি শব্দ কীর্তন নামেও পরিচিত, এটি হল শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শৈলী যা শিখ ধর্মের মধ্যে প্রচলিত। এটি প্রাতিষ্ঠানিক, জনপ্রিয় এবং লোক ঐতিহ্য, ফর্ম এবং বৈচিত্র্যে বিদ্যমান। তিন ধরনের শিখ সঙ্গীতশিল্পীরা হলেন রবাবী, রাগী এবং ধাধী। এটা হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে একটি উপশাস্ত্রীয় ধারা হিসেবে পরিচিত।

 

বিস্তারিত দেখুন …

হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধারণা:

হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কারিগরি বিষয়গুলো বুঝতে কিছু বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকার দরকার। সেগুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল:

  • সঙ্গীতে স্বর
  • সঙ্গীতে শ্রুতি
  • পাশ্চাত্য স্বর পদ্ধতি
  • ভারতীয় স্বর পদ্ধতি
  • সঙ্গীতে অলঙ্কার
  • সঙ্গীতে ঠাট
  • সঙ্গীতে রাগ
  • সঙ্গীতে তাল
  • সঙ্গীতে ঘরানা
  • বান্দিশ / গাত

 

আরও পড়ুন:

ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত