আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম [ Ami jharer kache rekhe gelam ] গানটি সলিল রেকর্ড করান ১৯৬১ সালে তার প্রিয় গায়ক হেমন্ত মুখোপাধ্যায় কে দিয়ে। গানটি দারুন হিট করে। সলিল আর হেমন্ত জুটি ইতিহাস সৃষ্টিকারী বহু গান উপহার দিয়েছেন। সলিল এর পুরুষ গায়কের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়ও ছিলেন হেমন্ত বাবু।
আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম লিরিক্স, ami jharer kache rekhe gelam lyrics ]
গীতিকার : সলিল চৌধুরী
সুরকার : সলিল চৌধুরী
প্রথম রেকর্ডের কণ্ঠশিল্পী : হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা
আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা
আমি কাঁদলাম বহু হাসলাম
এই জীবন জোয়ারে ভাসলাম
আমি বন্যার কাছে ঘূর্ণীর কাছে রাখলাম নিশানা
ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা
কখন জানিনা সে
তুমি আমার জীবনে এসে
যেন সঘন শ্রাবনে প্লাবনে দুকূলে ভেসে
শুধু হেসে, ভালোবেসে
কখন জানিনা সে
তুমি আমার জীবনে এসে
যেন সঘন শ্রাবনে প্লাবনে দুকূলে ভেসে
শুধু হেসে, ভালোবেসে
যতো যতনে সাঁজানো স্বপ্ন, হলো সকলই নিমেষে ভগ্ন
আমি দূর্বার স্রোতে ভাসলাম তরী অজানায় নিশানা
ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা
ওগো ঝরা পাতা, যদি আবার কখনো ডাকো
সেই শ্যামল হারানো স্বপ্ন মনেতে রাখো
যদি ডাকো! যদি ডাকো!
ওগো ঝরা পাতা, যদি আবার কখনো ডাকো
সেই শ্যামল হারানো স্বপ্ন মনেতে রাখো
যদি ডাকো! যদি ডাকো!
আমি আবার কাঁদবো হাসবো
এই জীবন জোয়ারে ভাসবো
আমি বজ্রের কাছে মৃত্যুর মাঝে রেখে যাবো নিশানা
ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা
আমি কাঁদলাম বহু হাসলাম
এই জীবন জোয়ারে ভাসলাম
আমি বন্যার কাছে ঘূর্ণীর কাছে রাখলাম নিশানা
ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা।
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় : সম্ভবত বাংলার সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সবচেয়ে প্রিয় গায়ক। সলিল একবার বলেছিলেন, ঈশ্বর গাইতে পারলে হেমন্তের মতো কণ্ঠও থাকত। সারা বিশ্বের বাঙালিরা তাকে আদর করে হেমন্ত বা হেমন্তদা বলে ডাকে। বাকি ভারতে তিনি হেমন্ত কুমার নামে পরিচিত। তিনি যখন রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে শুরু করেন তখন বাঙালিরা তার প্রেমে পড়ে যায়। তার চমৎকার গভীর কণ্ঠ, তার ডেলিভারি এবং তার নিখুঁত উচ্চারণ রবীন্দ্রসঙ্গীতকে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা দিয়েছে। বেশিরভাগ বাঙালি সুরকারের রেকর্ডিংয়ের পাশাপাশি তিনি নিজেও একজন দক্ষ সুরকার ছিলেন।
সলিলের জন্য তার প্রথম গান ছিল ‘গানের বধূ’। গুঞ্জন আছে যে ‘গানের বোধু’ যখন মুক্তি পায় তখন সলিল আশেপাশেও ছিলেন না। কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে তিনি সুন্দরবনের কোথাও পুলিশের কাছ থেকে আত্মগোপন করেছিলেন। যাই হোক, ‘গানের বোধু’ অবিলম্বে হেমন্তকে বাংলা সঙ্গীত জগতে একজন গুরুত্বপূর্ণ গায়ক এবং সলিলকে নতুন সুরকার ও গীতিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এটি বাংলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী সংগীত অংশীদারিত্বের একটি হতে চলেছে।
আমার মনে হয় না সলিলের মতো আর একজন সুরকার হবেন যিনি ‘মনের জানালা ধেরে’ বা ‘আমায় প্রস্নো করে নীল ধ্রুবতারা’-এর মতো গান তৈরি করবেন এবং হেমন্তের মতো অন্য কোনও গায়ক এই গানগুলি গাইতে পারবেন। সলিল ও হেমন্তের গান এখন বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে…।
সলিল চৌধুরী (सलिल चौधरी, സലില് ചൗധരി) একজন ভারতীয় বাঙ্গালী সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার এবং গল্পকার। তিনি মূলত বাংলা, হিন্দি, এবং মালয়ালম চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। আধুনিক বাংলা গানের সুরস্রষ্টা হিসেবে এবং গণসংগীতের প্রণেতা হিসেবে তিনি একজন স্মরণীয় বাঙালি। তার গুণগ্রাহীদের কাছে তিনি সলিলদা বলেই পরিচিত।
তার সঙ্গীতপ্রতিভা মূলত ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পেই ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। তিনি একজন আয়োজক ছিলেন এবং বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র যেমন বাঁশি, পিয়ানো, এসরাজ ইত্যাদি বাজাতে জানতেন। তার মৌলিক কবিতাগুলোর জন্যে তিনি ব্যাপকভাবে নন্দিত এবং প্রশংসিত।
প্রথম রেকর্ড :
পরে শ্রীকান্ত গেয়েছেন:
আরও দেখুন:
2 thoughts on “আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম [ Ami jharer kache rekhe gelam ]”